আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

Blog

মধু খাঁটি কি না কি ভাবে বুঝব ? সবার জানা উচিৎ

মধু নিয়ে কিছু কথা! – সবার জানা উচিৎ

১. অভিজ্ঞতা ও ল্যাবটেস্ট ছাড়া খাঁটি মধু চেনার পরিক্ষার কোনো মাধ্যম নেই। অনেক সময় ল্যাব টেস্টেও ভুল ফলাফল আসে।

২. লোকমুখে পরিক্ষার যত মাধ্যমের কথা শুনা যায় সবই ধারণানির্ভর। যেমন, চুন পরীক্ষা, আগুন পরীক্ষা, পিপড়া পরীক্ষা, পানি পরীক্ষা, কুকুর পরীক্ষা, ফ্রীজিং পরীক্ষা, গা গরম পরীক্ষা ও হাত গরম পরিক্ষা ইত্যাদি । এ সকল প্রচলিত ভুল পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে কখনও মধু খাটি-ভেজাল চেনা সম্ভব নয়।

৩. খাঁটি মধু পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো, মধুর পেছনের লোকটি সৎ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও সচেতন হওয়া। অর্থাৎ সৎ-বিশ্বস্ত, অভিজ্ঞ ও সচেতন মধু বিক্রেতা থেকে মধু সংগ্রহ করা।

মধু খাঁটি চেনার উপায়

মধু খাঁটি চেনার উপায়

খেয়াল রাখতে হবে শুধু সৎ হলেই হবে না। সচেতন ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে। কেননা, সচেতন ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন না হলে সৎ হওয়া সত্ত্বেও নিজের অজান্তেই নিজে প্রতারিত হয়ে হাজারও কাস্টমার প্রতারিত হতে পারে।

৪. সব মধুর গুনাগুণ যেমন এক নয় তেমনি সব মধুর বৈশিষ্ট্যও এক নয়। একেক মধুর একেক বৈশিষ্ট্য। যেমন, সুন্দরবনের চাকের খাঁটি মধুর মধ্যে উপরের দিক দিয়ে প্রচুর পরিমাণ গাদ জমে। সরিষা, ধনিয়া, লিচু, কালোজিরা ফুলের মধু জমে যায়। সুন্দরবনে মধুতে আদ্রর্তা কম থাকলে সুন্দরবনের চাকের মধুও জমে যেতে পারে। এগুলো মধুর বৈশিষ্ট্য। অনেক ভাই মনে করে মধু জমে গেলে মধু ভেজাল। এ ধারণা ঠিক নয়। বরং সরিষা, ধনিয়া, লিচু, কালোজিরা ফুলের মধু জমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার এই চার প্রকার মধুর মধ্যে সরিষা ফুলের মধু অনেক বেশি জমে যায় তারপর ধনিয়া তারপর লিচু তারপর কালোজিরা ফুলের মধু।

সুতরাং মধু জমে গেলে ভেজাল এ ধারণা ঠিক নয়। এখন কথা হলো, জমে যাওয়ার পর নরমাল করার পদ্ধতি কী? হ্যাঁ, তাহলে শুনুন, জমা মধুর বোয়ামটা রুদ্রে বা গরম করা পানিতে কিছুক্ষণ ধরে রাখলেই দেখবেন সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তবে জমা মধু খাওয়ার অভ্যাস করাই ভালো। আমাদের দেশে জমা মধুর কদর না থাকলেও বিদেশীদের কাছে এর কদর অনেক বেশি। তাঁরা জমা মধুকে ক্রীমহানি বলে। এবং জমা মধু অন্য মধু থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে খুব মজা করে খায়।

৫. মধু প্লাস্টিকের বোয়ামে রাখার চেয়ে কাঁচের বোয়ামে রাখা নিরাপদ। এতে মধুর গুনাগুণ দ্বীর্ঘদিন অক্ষুন্ন থাকার সাথে সাথে মধুর রং ও গন্ধ ঠিক থাকে। আর প্লাস্টিকের বোয়ামে রাখলে অবশ্যই ফুডগ্রেড বোয়ামে রাখতে হবে।

অন্যথায় অল্প কিছু দিনেই মধুর গুনাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে।

মধু বেশি উষ্ণ বা বেশি ঠান্ডায় রাখা যাবে না। বরং মধু রাখতে হবে স্বাভাবিক জায়গায়। আর ভুলেও মধু ফ্রিজে রাখা যাবে না। এতে মধুর গুনাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এ ভুলটাই অধিকাংশ মানুষ বেশি করে। ফ্রিজ হল মধুর নাম্বার ওয়ান শত্রু। যেসব মধু জমে যায় সেসব মধু ফ্রিজে রাখলে খুব দ্রুত জমে যাবে।

কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ফ্রিজে মধু জমে যাওয়ার পর মধু ভেজাল হওয়ার জিকির করে। যা মুর্খতা বৈ কিছুই নয়।

#Repost#Honey#মধু#খাঁটিমধু#Purehoney#safefood#naturalremedies

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account