আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে যে সব খাবার খেতে হবে

খাদ্যাভ্যাসের সাথে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। খাদ্য গ্রহণের তারতম্যের কারণে আমরা নানাবিধ শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হই। আর যা প্রভাব ফেলে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। তাই খাদ্য গ্রহনের সাথে খাবারের পুষ্টিগুণ, খাবারের পরিমান, খাবার প্রস্তুত প্রক্রিয়া, সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে সৃষ্ট এক রোগের নাম ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’। খুবই সাধারণ এবং অতিপরিচিত রোগ হলেও এই রোগের দীর্ঘকাল স্থায়িত্ব আমাদের শরীরে নানা জটিলতার জন্ম দেয়, সেই সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন হয়ে ওঠে দূর্বিষহ। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য কে মোটেই অবহেলা করা উচিৎ না। এই রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রতিকার যেমন জরুরি, তেমনি প্রতিরোধ ব্যবস্থাও জানা থাকা উচিৎ। এ লক্ষ্যে আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু সংযোজন – বিয়োজন আবশ্যিক।

তাই আজকে আমরা এই ব্লগে আলোচনা করবো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপনি মূলত কি খাবেন ? কিন্তু তার আগে জেনে নেই ছোট করে কোষ্ঠকাঠিন্য কি ?


কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয়?

কোষ্ঠকাঠিন্য হলো এক ধরনের হজমজনিত সমস্যা, যার ফলে মল শক্ত এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সাধারণত সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করা এবং মলত্যাগে কষ্ট হওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। এটি হজম প্রক্রিয়ার বিঘ্নের ফলে ঘটে থাকে, যার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যতালিকায় আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবারের ঘাটতি। এছাড়া, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খেতে হবে:


ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে খাদ্যতালিকায় নিম্নলিখিত খাদ্যগুলো সংযোজন এর মাধ্যমে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারি।

কলা: কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম কারণ হলো আমাদের খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের ঘাটতি। সেই জায়গা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের মহৌষধ বলা যায় কলা কে। কেননা, কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। এছাড়াও কলায় আরো রয়েছে পটাশিয়াম। যা মানবদেহের বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কার্যক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় ফলে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই তিনবেলা খাবার শেষে একটি করে কলা খাওয়ার অভ্যাস আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।

শাকসবজি: আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবারের বিকল্প নেই। আর আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে শাকসবজি। বিশেষ করে কলমিশাক। এছাড়াও লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, ঢেড়শ, মিষ্টিকুমড়া প্রভৃতি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফ্রেশ মৌসুমি শাকসবজি রাখা আবশ্যক।

আপেল: খোসাসমেত আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে দারুণ কার্যকরি। আপেল এর খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় তা মল নরম করতে সহায়ক। অবশ্যই আপেল খাওয়ার আগে কিছু সময় পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

নাশপতি: শরীরে ফাইবার এর চাহিদা পূরণে নাশপতি খুবই কার্যকরি। আমাদের দৈনিক ফাইবার বা আঁশ এর চাহিদা প্রায় ২২ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে শুধুমাত্র একটি নাশপতি। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

পেয়ারা: পেয়ারা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যই দূর করে না বরং শরীরের ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পেটের সমস্যা সমাধানে পেয়ারা সবার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিৎ।

কমলা ও ওটস: প্রতিটি কমলায় প্রায় ৪ গ্রাম করে আঁশ পাওয়া যায়। এবং এক কাপ ওটস এ দ্রাব্য ও অদ্রবণীয় মিলিয়ে প্রায় ২ গ্রাম আঁশ মেলে। কমলা তে থাকে ‘ফ্লাভানল’ নামক উপাদান যা ‘ল্যাক্সাটিভ’ বা রেচক হিসাবে কাজ করে।

ড্রাই ফ্রুটস: খাবারে ফাইবার এর অন্যতম উৎস হলো ড্রাই ফ্রুটস। যেমন কিশমিশ, চিয়া সীড প্রভৃতি। এছাড়া ডুমুরেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে খাদ্য তালিকায় ড্রাই ফ্রুটস এর সংযোজন দারুণ উপকারী।

টক দই: প্রোবায়োটিক সম্পন্ন খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো টক দই। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ল্যাকটিক অ্যাসিড। এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবেলা খাবার খাওয়া শেষে ২-৩ চামচ টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।

নারিকেল তেল: নারিকেল তেল আমরা নানাবিধ কাজে ব্যবহার করি। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকার হিসাবেও নারিকেল তেল ভালো কাজ করে। নারিকেল তেল এ থাকা ফ্যাটি এ্যাসিড মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই রান্নার কাজে কিংবা সালাদ এর সাথে মিশিয়ে নারিকেল তেল খেতে পারেন।

যষ্টিমধু: আয়ুর্বেদ তথ্যমতে শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধিতে যষ্টিমধু খুবই কার্যকরি। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক যষ্টিমধু। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ যষ্টিমধু গুড়া ও গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন।

লাল চাল ও লাল আটা: চাল এবং রুটি আমাদের শরীরে শর্করার প্রধান উৎস। তাই এটি আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। কিন্তু লাল চাল ও লাল আটা তে ফাইবার বা আঁশ থাকে পরিমানে অনেক বেশি। তাই আমাদের লাল চাল ও লাল আটা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।

তোকমা: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে তোকমা হতে পারে খুবই উপকারী একটি খাবার। পানিতে ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে তারপর খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। বিভিন্ন শরবতের সাথে মিশিয়েও তোকমা খাওয়া যায়।

অ্যালোভেরা: আমাদের দেহের ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। কিন্তু ‘ল্যাক্সাটিভ’ জাতীয় সবজি হওয়ায় মল পিচ্ছিল করতে অ্যালোভেরা প্রায় বিকল্পহীন। অ্যালোভেরা যে-কোনো কিছুর সাথে শরবত হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।

ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের জন্য একটি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা। যা শুধু মল নরমই করে না, পাশাপাশি মলের পরিমান বৃদ্ধি ও মলত্যাগ সহজ করতে সাহায্য করে। কুসুম গরম একগ্লাস পানির সাথে ২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ইসবগুলের ভুসি তে রয়েছে অনেক বেশি পরিমানে অদ্রবণীয় আঁশ যা পানি শোষণ করে। এজন্য ইসবগুলের ভুসি খেলে দৈনিক অন্তত পক্ষে ২ লিটার পানি পান করতেই হবে। অন্যথায় ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষন করে মলত্যাগ আরো বেশি কষ্টসাধ্য করে তুলবে।

পর্যাপ্ত পানি: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি দৈনিক ৩ লিটার খনিজ পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আংশিক বিকল্প হিসেবে টমেটো, শসা, গাজর ও কাঁচা পেঁপে সালাদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শসায় প্রায় ৯৪ শতাংশ পানি থাকে। এবং পানি মল নরম করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে এমন প্রায় সব খাবার এবং তার নির্দেশনাই এই আর্টিকেলে দেওয়া আছে। এখানে নির্দেশিত সব খাবারই খেতে হবে বিষয়টি এমন নয়। মৌসুম, আবহাওয়া এবং সহজলভ্যতার উপর ভিত্তি করে আমরা খাবার নির্বাচন করতে পারি। বিশেষ করে আমাদের মাথায় রাখতে হবে খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের ঘাটতিই আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের দিকে ঠেলে দেয়। তাই যেসব খাবারে বেশি বেশি ফাইবার বা আঁশ পাওয়া যায়, আমরা চেষ্টা করবো আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় তা সংযোজন করতে। তাহলেই কেবল আমরা নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারি।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account