আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়

অতিরিক্ত ওজন কেবল দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার কারণই নয়, বরং তা স্বাস্থ্যঝুঁকিও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন মানেই বাড়তি ঝামেলা সেই সাথে থাকে বিভিন্ন রোগে ভোগার শঙ্কা। এজন্য ওজন বাড়তি নিয়ে যেন চিন্তার শেষ নেই।

একদল গবেষক গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, শারীরিকভাবে ফিট মেয়েদের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মেয়েদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে ৬৬ শতাংশ বেশি। এতে শারীরিক সমস্যা যেমন দেখা দেয়, তেমনি মানসিক চাপ ও হরমোনজনিত নানা জটিলতাও তৈরি হতে পারে।

তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে খুব চিন্তিত আছেন, তাদের জন্য আজকের ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়।

ঘরোয়া উপায়ে মেয়েদের ওজন কমানোর কার্যকর পদ্ধতি

মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য কিছু কার্যকর উপায়ের মধ্যে রয়েছে: পর্যাপ্ত ঘুম, পরিমিত খাবার গ্রহণ, মানসিক চাপ কমিয়ে হাসিখুশি থাকা, শরীরের যত্ন নেওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। মেয়েদের মধ্যে যারা সময়ের অভাবে বাইরে গিয়ে জিম করতে পারেন না, তারা ঘরে বসেই কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে সহজে ওজন কমাতে পারবেন। এখানে ওজন কমানোর কিছু কার্যকর কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের গুরুত্ব

পর্যাপ্ত ঘুম শুধু ওজন কমানোর জন্য নয়, এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা পর্যাপ্ত ঘুমান না, তাদের মধ্যে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। তাই, প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ঘুমের ঘাটতি শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ঘুম ভালো হলে মনও শান্ত থাকে এবং খাদ্যাভ্যাসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস পরিকল্পনা

ওজন কমানোর জন্য শুধুমাত্র কম খাওয়া জরুরী নয়, বরং কী খাচ্ছেন এবং কতটা খাচ্ছেন তা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা শুধুমাত্র ওজন কমাতে আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতেই সাহায্য করবে না, পাশাপাশি আপনার শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কীভাবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলবেন?

  • সকালে পুষ্টিকর নাশতা করুন: সকালের নাশতা কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। এটি সারা দিনের জন্য শক্তি যোগায় এবং মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত বিরতিতে খাবার গ্রহণ: সারাদিনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ছোট ছোট পরিমাণে খাবার খেতে হবে। এতে করে খিদে কম অনুভূত হবে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে পারবেন।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: প্রোটিন খিদে কমাতে সাহায্য করবে এবং এটি পেশির গঠনে সাহায্য করে। ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, চিয়া সিড, দই ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
  • ফাইবার ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন: শাকসবজি, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ, ফলমূল এবং দানাদার শস্য খাদ্য আপনাকে দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগাবে ও আপনার পেটের হজম ক্ষমতা ভালো রাখবে।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান করা

অনেক মেয়েরাই আছেন যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বিশেষভাবে আগ্রহী না, যার কারণে তারা ডিহাইড্রেশনের শিকার হন। আর ডিহাইড্রেশন শুধু শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি আপনার ওজন কমানোর প্রচেষ্টাকেও বাধাগ্রস্ত করবে। আর মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর অন্যতম কার্যকরী উপায় হচ্ছে খাওয়ার আগে পানি পান করা। তাই, চেষ্টা করুন সব সময় কাছে একটি পানির বোতল রাখার এবং সময় মতো পানি পান করার। এতে আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করবে।

কীভাবে পানি পান করবেন?

  • প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। সঠিক মেটাবলিজমের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।
  • সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
  • পাশাপাশি প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস চিয়াসিড ভিজিয়ে রেখে সকালে সাথে হিমালয়ান পিংক সল্ট মিশিয়েও খেতে পারেন।

৪. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেক মেয়েদের মানসিক চাপ বা স্ট্রেস একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্রেসের ফলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের বৃদ্ধি ঘটে, যা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাই, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য এবং ওজন কমানোর প্রচেষ্টার উপর সরাসরি ভুমিকা রাখে।

কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখবেন?

  • প্রতিদিন কিছু সময় যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।
  • পছন্দের কোনো বই পড়ুন, ছবি আঁকুন বা গান শুনুন।
  • আপনার পরিবারকে সময়  দিন, তাদের সাথে সাথে হাসিখুশি সময় কাটান। প্রিয়জনদের সাথে কাটানো সময় মানসিক চাপ কমাপে সাহায্য করে।

 

৫. গ্রিন টি/ব্লাক কফি পান করাঃ

যেসকল মেয়েরা ওজন কমাতে চায় তদের জন্য কার্যকরী উপায় হবে নিয়মিত গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক কফি পান করা। অনেক মেয়েই আছেন যারা চিনিযুক্ত কফি খেতে পছন্দ করেন, আর এটি কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের অন্যতম কারণ। তাই তাদের উচিত ব্ল্যাক কফি পান করা কারণ ব্লাক কফি ক্যালরি কমানোর পাশাপাশি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি এটি পেটের ৫০% হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহয্য করে।

মেয়েদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির পাশাপাশি গ্রিন টিও গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। এতে ক্যাফিনের মাত্রা কম হলেও ক্যাটেচিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে। আর এই ক্যাটেচিন শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে সহায়তা করে এবং দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

৬. চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন

ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত ও অতিরিক্ত তেলে রান্না করা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করে, যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এছাড়াও অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন মধু। মধু একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর মিষ্টি। অতএব, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। এতে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা সহজ হবে।

৭. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা রোজা একটি খাদ্যাভ্যাস যা খাদ্য গ্রহণের সময় এবং বিরতির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট চক্র অনুসরণ করে। এই পদ্ধতিটি শুধু ওজন কমাতে নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হলো খাবার গ্রহণের সময় নির্ধারণ করা, যাতে শরীরের মেটাবলিজম এবং শক্তির ব্যালান্স উন্নত হয়।

এটি সাধারণত বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যায়, যেমন:

  • 16/8 পদ্ধতি: ১৬ ঘণ্টা উপোস এবং ৮ ঘণ্টা খাবার খাওয়া।
  • 5:2 পদ্ধতি: সপ্তাহে ৫ দিন স্বাভাবিক খাবার খাওয়া এবং অন্তত ২ দিন রোজা রাখা

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, তারা সাধারণত কম ক্যালোরি গ্রহণ করেন এবং সহজেই ওজন কমাতে পেরেছে, তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা ওজন কমাতে রোজা রাখতে পারেন।

৮. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

বাইরে গিয়ে জিমে সময় দেওয়া সবার জন্য সম্ভব হয় না। তবে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম শুধু ওজন কমানোর জন্যই নয়, বরং এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও খুব প্রয়োজন।

প্রতিদিন সকালে উঠেই হাঁটাহাঁটি করা একটি দারুণ ব্যায়াম। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। পাশাপাশি সাঁতার কাতার অভ্যাস করা, কারণ সাঁতার একটি পূর্ণদেহের ব্যায়াম, যা শরীরের বিভিন্ন পেশিকে কার্যকরভাবে কাজ করায়। এটি দ্রুত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।  এছাড়াও ঘরে বসেই কিছু সহজ ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে পারেন, যেমনঃ স্কোয়াট, লাঞ্জ, পুশ-আপস বা জাম্পিং জ্যাক। ব্যায়াম করতে গিয়ে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সময় ও পদ্ধতি নির্বাচন করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ফিট হবে এবং আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যে সফলতা অর্জন করা অনেক সহজ হবে।

 

উপসংহার

মেয়েদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয়, বরং সুস্থ জীবনযাপনের জন্যেও প্রয়োজন। তাই আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ কমানো, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত পানি পান ও রোজা রাখার মাধ্যমে সহজেই ওজন কমাতে পারবেন।

ওজন কমানোর এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি আরও ফিট এবং সুস্থ থাকবেন। তবে ধৈর্য ধরে নিয়মিত চর্চা করতে হবে তাহলে ইনশা-আল্লাহ ফলাফল পাবেন। তাই, প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তন দিয়ে শুরু করুন।

আমাদের এই ব্লগ পোস্ট টি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিতদের মাঝে যারা এই সমস্যায় ভুগছে। পাশাপাশি নিজের টাইম লাইনে শেয়ার করে রাখতে পারেন। নিজের সুস্থতা ও নিজের পরিবারের সুস্থতার জন্য ফিট ফর লাইফ এর সাথেই থাকুন কারণ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা আপনাদের কে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়ে কাজ করে চলেছি।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account