আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ ও পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা

ইদানীং প্রায়শই নাকের পলিপাসের সমস্যা চোখে পড়ে। আমাদের মধ্যে নাকের পলিপাস নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আমাদের দুই নাকের ভেতরে হালকা গোলাপি রঙের দুইটি ফোলা মাংসপিণ্ড দেখা যায় এটা কিন্তু পলিপাস নয় এটাকে টারবিনেট বলে। পলিপাস কি,কেন হয় এবং এর থেকে প্রতিকারের উপায় আজকের ব্লগে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ ও পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা
নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ ও পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা

নাকের পলিপাস কি?

নাকের পলিপাস (Nasal Polyps) নাকের পলিপাস হচ্ছে এক ধরনের রোগ।  আমাদের নাকের ভিতর একটা লাইনিং মিউকাস মেমব্রেন আছে যারমধ্যে অনেক সময় ইডেমা হতে দেখা যায় । ইডেমা বলতে এক ধরনের তরল জমে নাকের ভেতরে ফোলাভাব দেখা যাওয়াকে বোঝায়। আর এই ইডেমা হয়ে যখন ঝুলে পড়ে যায় তখন নাকের ভিতর পলিপের মতো তৈরি হতে দেখা যায় । অনেক সময় এটি দেখতে আঙুরের মতো হয় খুব নরম এবং এর ভেতরে তরল জাতীয় কিছু পদার্থ থাকতে দেখা যায়।

এই পলিপাস যেকোনো বয়সেই হতে পারে । সাধারণত অ্যালার্জি থেকে নাকের পলিপাস হয়। আর ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি যাদের বেশি পরিমাণে হয় তাদের অ্যালার্জি বেশি হয়। যেখানে ধুলোবালি বেশি, ঠান্ডা পরিবেশ, যাদের নাকে সর্দি, হাঁচি বেশি হয় তাদের নাকে পলিপাস বেশি হতে দেখা যায়।
মানুষের নাকে পলিপাস সাধারণত দুই ধরনের হয়। যেমন: এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস শিশুদের মধ্যে বেশি হয়। আর বৃদ্ধ বা যুবকদের ইথময়েডাল পলিপাস বেশি হয়।

দেয়ার

যদিও নাকের পলিপাস হওয়ার সঠিক কারণ এখনও চিকিৎসা গবেষণায় পুরোপুরি ভাবে জানা যায়নি। নাকের পলিপাস সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার সাথে জড়িত । এর প্রধান কারণগুলো হলো:

অ্যালার্জি বা হাঁপানি

অ্যালার্জির কারণে নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লি দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত হতে থাকে , যা পলিপাস হওয়ার একটা কারণ হিসেবে ধরা হয়। নাকের পলিপাসের সাথে সরাসরি অ্যালার্জি এবং হাঁপানির একটি সম্পর্ক রয়েছে। যারা দীর্ঘমেয়াদী অ্যালার্জি সমস্যায় ভুগছেন, যেমন অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (Hay Fever) বা হাঁপানি তাদের মধ্যে পলিপাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সাইনোসাইটিস

দীর্ঘস্থায়ী সাইনাস সংক্রমণ বা সাইনাস আক্রান্ত হওয়ার কারণে নাকে পলিপাস হতে পারে। যখন নাকের সাইনাসগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমিত থাকে তখন সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। যদি সাইনোসাইটিসের প্রদাহ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি ফুলে উঠে এবং পলিপাস তৈরি হয়। অনেক সময় সাইনোসাইটিস এবং পলিপাস একসঙ্গে দেখা যায় এবং এটি সাইনাসের বাতাস চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করে।

বিভিন্নরকম প্রদাহজনিত সমস্যা

বিভিন্নরকম প্রদাহজনিত সমস্যাগুলো হলো। যেমন: সিস্টিক ফাইব্রোসিস, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, এবং ক্রনিক ফাঙ্গাল সাইনোসাইটিস। নাকের ভিতর পলিপাস সাধারণত নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লির দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের ফলে গঠিত হয়। যখন নাকের ভেতরের শ্লেষ্মা ঝিল্লি দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকে। তখন এই ঝিল্লি স্ফীত হয় এবং নাকের মধ্যে নরম পলিপাসের মতো বৃদ্ধি হতে বেশি দেখা যায় । দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত সমস্যাগুলো যেমন: দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা সাইনোসাইটিস বা অ্যালার্জির কারণেও এই ঝিল্লির প্রদাহ বেশি হয়ে থাকে।

জিনগত প্রবণতা*:
পরিবারে কারও পলিপাস হওয়ার ইতিহাস থাকলে পরবর্তীতে অন্যদের ও পলিপাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বায়ু দূষণ

নাকের ভিতর পলিপাস হওয়ার আরেকটি কারণ হলো বায়ু দূষণ। দীর্ঘদিন বায়ু দূষণ, ধূমপান, এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক ক্যামিক্যালের সংস্পর্শে থাকলে নাকের ভেতরে প্রদাহ হতে পারে। যা পরবর্তীতে পলিপাসের সৃষ্টি করে থাকে।

ফাঙ্গাল সংক্রমণ

নাকের ভিতর পলিপাস অনেক সময় ফাঙ্গাল সংক্রমণের সাথেও জড়িত থাকে । ফাঙ্গাল সংক্রমণগুলো বিশেষ করে ক্রনিক ফাঙ্গাল সাইনোসাইটিসের কারণে নাকের ভেতরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি হয়, যা পলিপাসের আকার ধারণ করে ।

ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা

নাকের পলিপাসের আরেকটি কারণ হতে পারে শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা। ইমিউন সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করলে শরীর সহজেই যেকোন রোগের সংক্রমণের শিকার হয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। ইমিউন সিস্টেমের এই সমস্যার কারণে শ্বাসযন্ত্রের ঝিল্লি ফুলে ওঠে এবং পলিপাসের আকার ধারণ করে।

উপরোক্ত লক্ষনগুলো দেখা গেলে আর দেরী না করে অবশ্যই খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন।

নাকের পলিপাসের ঘরোয়া চিকিৎসা

কয়েকটি ঘরোয়া চিকিৎসা রয়েছে যা পলিপাস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে মনে রাখতে হবে যে পলিপাস যদি গুরুতর হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
এখানে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো।চলুন জেনে নেওয়া যাক:

লবন-পানির সলিউশন (Saline Nasal Spray)

এক কাপ উষ্ণ পানিতে ১/২ চা-চামচ লবন মিশিয়ে নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে ধীরে ধীরে প্রবাহিত করুন। এটি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
লবন-পানির মিশ্রণ (সালাইন সলিউশন) দিয়ে নাক ধুয়ে দিলে নাকের পলিপাস থেকে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়। এটি নাকের ভিতরের শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে এবং নিশ্বাস নেওয়ার পথ পরিস্কার রাখে।

নিশ্বাসের সাথে বাষ্প নেওয়া (Steam Inhalation)

এক বাটি গরম পানিতে মাথা ঢেকে বাষ্প নিন। এতে শ্লেষ্মা সহজে বেরিয়ে আসবে এবং শ্বাস নিতে স্বস্তি পাবেন। দিনে দুইবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বাষ্প নেওয়া এই পদ্ধতি নাকের পলিপাসের কারণে শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। বাষ্প নেওয়ার মাধ্যমে শ্লেষ্মা ঢিলা হয় এবং নাকের ভিতর বাতাস চলাচল সহজ হয়।

আদার চা (Ginger Tea)

২-৩ টুকরো আদা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর তাতে মধু মিশিয়ে পান করুন। দিনে দুইবার এই চা পান করলে প্রদাহ কমাতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আদা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং নাকের পলিপাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদ (Turmeric)

দৈনন্দিন খাদ্যে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।অন্যথা এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি নাকের শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার (Apple Cider Vinegar)

এক কাপ গরম পানিতে এক চা-চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং মধু মিশিয়ে দিনে দুবার পান করতে পারেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার নাকের শ্লেষ্মা পরিস্কার করতে সাহায্য করে এবং পলিপাসের কারণে সৃষ্ট নাকের প্রদাহ কমায়।

ভিটামিন সি (Vitamin C)

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, পেয়ারা, এবং ব্রকলি , বিটরুট, মরিঙ্গা পাউডার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
ভিটামিন সি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং এটি প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে নাকের পলিপাস কমানোর সম্ভাবনা বাড়ে।

ইউক্যালিপটাস অয়েল (Eucalyptus Oil)

কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস অয়েল দিয়ে নাকের পাশে হালকা মালিশ করতে করুন।
ইউক্যালিপটাস অয়েল প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এটি শ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং পলিপাসের কারণে সৃষ্ট বাতাস চলাচলের বাধা দূর করতে সাহায্য করে।

গাঁজানো রসুন মধু

রসুনে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পলিপাসের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী নাকের সাইনাস ও পলিপাস সমস্যায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ গাঁজানো রসুন মধু খান। নিয়মিত সেবনে নাকের পলিপাস ও অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ঘরোয়া ভাবে।

 

নাকের পলিপাসের ক্ষেত্রে সতর্কতা

পরিশেষে বলা যায় যে, নাকের পলিপাসের জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো সাময়িক স্বস্তি দেয়। তবে এগুলো কোনো চূড়ান্ত সমাধান নয়। যদি উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account