আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

খিচুড়ি রান্নার রেসিপিঃ চিকেন খিচুড়ি রান্নার রেসিপি

মুরগীর মাংস, সুগন্ধী চাল , ডাল, কাঠের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল, দেশী গরুর দুধের ঘি এবং বিভিন্ন ধরনের মশলার সমন্বয়ে রান্না করা হয় সুস্বাদু ও মজাদার চিকেন খিচুড়ি

বৃষ্টির দিনে বা শীতে কিংবা বিশেষ সময়ে চিকেন খিচুড়ি একটি জনপ্রিয় মজাদার খাবার হিসেবে পরিচিত। শিশু এবং বয়স্ক সবার কাছেই চিকেন খিচুড়ি পছন্দের একটি খাবার। আজকের ব্লগে আমরা চিকেন খিচুড়ি রান্নার বিস্তারিত রেসিপি নিয়ে আলোচনা করব।

খিচুরি রান্নার রেসিপিঃ চিকেন খিচুড়ি রান্নার রেসিপি

খিচুরি রান্নার রেসিপিঃ চিকেন খিচুড়ি রান্নার রেসিপি

চিকেন খিচুড়ি হলো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। যা চাল, ডাল, মাংস ও মশলা একত্রে মিশিয়ে  রান্না করা হয়।  চিকেন খিচুড়ি সাধারণত বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয়। এই রেসিপিটি প্রস্তুত করা তুলনামূলকভাবে সহজ, তবে সময় নিয়ে ধাপে ধাপে রান্না করলে এটি আরও মজাদার হয়। চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেই কীভাবে চিকেন খিচুড়ি রান্না করতে হয়।

 

চিকেন খিচুড়ি রান্নার রেসিপি :

 

 প্রধান উপকরণ:

  • মুরগীর মাংস: ৫০০ গ্রাম (ছোট টুকরা করে কাটা)
  • সুগন্ধি চাল বা বাসমতি চাল: ২ কাপ
  • মুগ ডাল: ১ কাপ (হালকা করে টেলে নেয়া)
  • পেঁয়াজ: ২টি (মাঝারি মাপের, কুচি করে কাটা)
  • আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
  • টমেটো: ১টি (কুচি করে কাটা)

 মশলা:

 

অন্যান্য উপকরণ:

  • ঘি : ৩ টেবিল চামচ
  • ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল: পরিমানমত
  • লবণ: স্বাদমতো
  • পানি: প্রয়োজনমতো (প্রায় ৬-৮ কাপ)
  • কাঁচা মরিচ: ২-৩টি (চেরা)
  • ধনেপাতা: ১/২ কাপ (কুচি করে কাটা)

 

চিকেন খিচুড়ি প্রস্তুত প্রণালী:

 

ধাপ ১: ডাল ভাজা ও চাল ধোয়া

প্রথমে মুগ ডাল হালকা করে টেলে নিতে হবে। ডাল টাললে এর বিশেষ গন্ধ ও স্বাদ বেরিয়ে আসে, যা খিচুড়ির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাল টালার পর চাল ও ডালকে আলাদা আলাদা পানিতে ধুয়ে নিন। চাল ও ডাল ১৫-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

 

 ধাপ ২: মশলা ও চিকেন মেরিনেট করা

চিকেন টুকরাগুলো ধুয়ে নিন এবং অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর চিকেনের সাথে লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়োলাল মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিটের জন্য মেরিনেট করতে রেখে দিন। মশলা মেশানো চিকেন কিছুক্ষণ মেরিনেট করলে এতে মশলার স্বাদ ভালোভাবে ঢুকে যাবে।

 

 ধাপ ৩: তেল গরম করে মশলা ভাজা

একটি বড় ও গভীর হাঁড়িতে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা ঘি গরম করুন। গরম তেলে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, ও লবঙ্গ দিন। কিছুক্ষণ নাড়ুন যাতে মশলাগুলো থেকে সুগন্ধ বের হয়। এরপর কাটা পেঁয়াজ যোগ করুন এবং হালকা বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে টমেটো কুচি যোগ করুন এবং টমেটো নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।

 

ধাপ ৪: চিকেন রান্না করা

পেঁয়াজ ও টমেটো ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে মেরিনেট করা চিকেন মশলার মধ্যে দিন। মাঝারি আঁচে চিকেন রান্না করতে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে মশলা চিকেনের সাথে মিশে যায় এবং চিকেনের রঙ সোনালি হয়ে আসে। চিকেন হালকা সেদ্ধ হয়ে এলে এতে জিরা গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এই মশলাগুলো খিচুড়িতে মজাদার স্বাদ যোগ করবে।

 

ধাপ ৫: চাল ও ডাল যোগ করা

চিকেন সেদ্ধ হয়ে গেলে এতে ভেজানো চাল ও ডাল ঢেলে দিন। চাল ও ডাল ভালোভাবে চিকেন ও মশলার সাথে মিশিয়ে নিন। একে একে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে এতে ৬-৮ কাপ পানি ঢালুন। পানি দেয়ার পর স্বাদমতো লবণ যোগ করুন এবং চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে দিন।

 

ধাপ ৬: খিচুড়ি সেদ্ধ করা

চাল, ডাল ও চিকেন একসাথে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিন যাতে নিচে লেগে না যায়। খিচুড়ির পানি শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। উপরে কিছু কাঁচা মরিচ ও ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।  ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন যাতে সমস্ত মশলার স্বাদ ভালোভাবে মিশে যায়।

 

চিকেন খিচুড়ি পরিবেশন

গরম গরম চিকেন খিচুড়ি একটি বড় প্লেটে পরিবেশন করুন। এর সাথে মজাদার টক ঝাল মিস্টি স্বাদের রসুন আঁচার কিংবা  আলু বোখরার আচার, টক দই বা বেগুন ভর্তা রাখলে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে। আমাদের আচার কম্বোতে রয়েছে, টক ঝাল স্বাদের রসুন আচার ও আলু বোখরার আচার। যা এই খিচুড়ির সাথে খেতে অসাধারণ হবে।

 

এই চিকেন খিচুড়ি রেসিপিটি বৃষ্টি কিংবা শীতে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। অসাধারণ সাধের এই চিকেন খিচুড়ি আপনার কাছে খুবই ভালোলাগবে। তার সাথে অবশ্যই মজাদার স্বাদের টক, ঝাল, মিষ্টি আচার এবং ঘি অবশ্যই নিবেন। আজকের এই ব্লগ যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই FIT FOR LIFE কে ফলো করুন।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account