আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

রোস্ট রান্নার সহজ রেসিপি

রোস্ট আমাদের অনেকেরই প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণ, পারিবারিক অনুষ্ঠানে বা বন্ধুদের আড্ডায় রোস্ট খেতে সবাই ভালোবাসেন। রোস্ট নানা ধরনের হতে পারে। যেমন- মুরগির রোস্ট, খাসির রোস্ট। এর মধ্যে মুরগির রোস্ট সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়।

অনেকে ভাবেন রোস্ট রান্না করা অনেক ঝামেলার কাজ, তাই ইচ্ছে থাকলেও বানানো হয় না। রোস্ট বানাতে অনেক মসলার প্রয়োজন হয়, যা সবসময় হাতের কাছে থাকে না।।

অথচ কিছু সহজ কৌশল জানা থাকলে তা সহজেই স্বাদ এবং গুণে অনন্য হয়ে উঠতে পারে। এই ব্লগে রোস্ট রান্নার একটি সহজ রেসিপি শেয়ার করা হবে। যা নতুন রাঁধুনিরাও সহজে অনুসরণ করতে পারবেন এবং যা কম উপকরণেই মজাদার হবে।

রোস্ট রান্নার সহজ রেসিপি

রোস্ট রান্নার সহজ রেসিপি

রোস্ট তৈরি করতে যা যা লাগবে:

রোস্ট বানানোর জন্য খুব বেশি উপকরণ দরকার হয় না। কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং মাংস ঠিকমতো ব্যবহার করলে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে বাড়ির মতো মজাদার রোস্ট তৈরি করা সম্ভব। এখানে রোস্টের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:

  • মুরগির মাংস – ১ কেজি: (আপনার পছন্দ মতো মাংস এর পরিমাণ নিতে পারেন)। তবে আপনার ইচ্ছে হলে খাসি বা গরুর মাংসও ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঘি-পরিমাণ মত
  • টক দই – আধা কাপ: টক দই মাংসকে নরম ও রসালো করতে সাহায্য করে এবং রোস্টের মশলার সাথে মিশে সুস্বাদু স্বাদ তৈরি করে।
  • পেঁয়াজ বাটা – ২ টেবিল চামচ
  • আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়া – ১ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়া – আধা চা চামচ
  • লবণ – পরিমাণ মতো ( আপনি চাইলে সাধারণ লবণের পরিবর্তে হিমালয়ান পিংক সল্ট ব্যবহার করতে পারেন।)
  • তেল – ২ টেবিল চামচ: রোস্ট রান্না করার জন্য খুব বেশি তেলের প্রয়োজন হয় না। (আপনি যদি স্বাস্থ্যসচেতন হন সেক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করুন)
  • কাঁচা মরিচ – ৪-৫টি (ঐচ্ছিক)

 

এই উপকরণগুলো সহজেই আপনার ঘরে পাওয়া যাবে। এগুলো দিয়ে খুব কম সময়েই একটি সুস্বাদু এবং মজাদার রোস্ট তৈরি করা সম্ভব।

 

 মেরিনেশনের প্রক্রিয়া

মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং বড় বড় টুকরা করে কেটে রাখুন।(আস্ত একটি মুরগি ৪ ভাগ করতে পারেন)

একটি বড় পাত্রে টক দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, গরম মশলা গুঁড়া এবং লবণ মিশিয়ে একটি মেরিনেড তৈরি করুন।

মাংসের টুকরাগুলোকে এই মেরিনেডে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন এবং অন্তত ১ ঘন্টা (যদি সম্ভব হয় তাহলে আরও বেশি সময়) ফ্রিজে রেখে দিন।

 

রোস্ট রান্নার সহজ পদ্ধতি:

১. প্রথমে একটি প্যানে তেল গরম করুন। যদি স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘি ব্যবহার করতে চান, তবে তেল এবং ঘি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

২. তেল গরম হয়ে এলে মেরিনেট করা মাংস প্যানে দিয়ে অল্প আঁচে রান্না শুরু করুন।

৩. এরপর চুলার আঁচ কমিয়ে মুরগির টুকরোগুলো হালকা ভেজে নিন। পেস্ট করে রাখা মসলা এবং মেরিনেটের জন্য ব্যবহৃত বাড়তি মসলাগুলো মুরগির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

৪. মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দিন, যাতে মাংস সমানভাবে ভাজা হয়।

৫. মাংসের প্যানটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং প্রায় ১০ মিনিটের জন্য অল্প আঁচে রাখুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে ভুলবেন না, যাতে মশলাগুলো মাংসে ভালোভাবে মিশে যায়।

৬. যখন মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন স্বাদ বাড়াতে মাংসের ওপর কাঁচা মরিচ দিয়ে সাজিয়ে নিন। চাইলে ধনেপাতা কুচি বা টমেটো স্লাইস দিয়ে সাজাতে পারেন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

অতিরিক্ত টিপস

  • মেরিনেট করার সময় বেশি রাখলে স্বাদ আরও ভালো হবে।
  • অল্প তেল ব্যবহার করে রান্না করলে স্বাস্থ্যসম্মত হবে।
  • যদি ঝাল বেশি পছন্দ করেন, তাহলে মরিচ গুঁড়া বা কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

এই রেসিপি পছন্দ হলে, আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরও মজাদার রেসিপি পেতে আমাদের ব্লগ ফলো করুন। আপনার মতামত বা যেকোনো প্রশ্ন কমেন্ট সেকশনে লিখুন। আমরা আনন্দের সাথে সাহায্য করবো।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account