আমাদের যে কোন পণ্য অর্ডার করতে WhatsApp: +8801321208940, হট লাইন: +8809639426742 কল করুন

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা হলো এক প্রকারের ঔষধি বীজ যা প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসা ও রান্নায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি Nigella sativa নামক উদ্ভিদের বীজ এবং এতে অসংখ্য পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। আজকের ব্লগে  আমরা কালোজিরা কী, এর উপকারিতা, কিভাবে এটি খাওয়া উচিত এবং চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতাগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

 

Table of Contents

কালোজিরা কী?

কালোজিরা একটি সুগন্ধি ও ঔষধি বীজ। যা সাধারণত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। কালোজিরা ছোট, কালো রঙের এবং কিছুটা তিক্ত স্বাদের হয়। এটি রান্নার মসলা, তেল এবং ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী হাদিসে কালোজিরাকে এমন একটি উপাদান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, “যা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের উপশম করে।”

 

কালোজিরার পুষ্টি উপাদান

কালোজিরাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে রয়েছে-

  • প্রোটিন।
  • আয়রন এবং ক্যালসিয়াম।
  • ফাইবার।
  • ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (থাইমোকুইনন)।
  • ভিটামিন এ, সি এবং ই।

এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

 

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ এবং শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। কালোজিরা খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো:

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কালোজিরায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

কালোজিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

  • হজমশক্তি বৃদ্ধি

এর ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এটি পেটে গ্যাস, বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

  • কোলেস্টেরল কমানো

কালোজিরা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধি করে। ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

  • চুল ও ত্বকের যত্নে উপকারী

কালোজিরার তেল চুলের গোড়া মজবুত করে। ত্বকের সংক্রমণ এবং ব্রণ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

  • স্মৃতিশক্তি উন্নত করা

কালোজিরা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।

  • শরীরের ব্যথা উপশম

কালোজিরার তেল বাতের ব্যথা এবং পেশি টান কমাতে সহায়তা করে।

  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক

কালোজিরাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাইমোকুইনন ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে সহায়তা করে।

 

কালোজিরা কিভাবে খেতে হয়?

কালোজিরা খাওয়ার কয়েকটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি হলো:

  • কাঁচা খাওয়া

কালোজিরা সকালে খালি পেটে খেলে এটি শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এটি পানির সঙ্গে বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

  • চিবিয়ে খাওয়া

কালোজিরা চিবিয়ে খেলে এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ভালোভাবে শোষিত হয়। চিবিয়ে খাওয়ার সময় মুখের লালা কালোজিরার গুণাগুণ শোষণে সহায়তা করে।

  • গুঁড়ো করে খাওয়া

কালোজিরাকে গুঁড়ো করে বিভিন্ন খাবারে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি রান্নার মসলা হিসেবে যেমন ব্যবহার হয়, তেমনি রুটি বা সালাদের সঙ্গেও খাওয়া যায়।

 

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে কিছু অতিরিক্ত উপকার পাওয়া যায়। যেমন-

  • দ্রুত পুষ্টি উপাদান শোষণ করে

চিবানোর মাধ্যমে কালোজিরার ভেতরের উপাদানগুলো দ্রুত হজমে সহায়তা করে। এতে শরীর দ্রুত এর উপকারিতা পেতে শুরু করে।

  • মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা

কালোজিরা চিবালে মুখের লালা নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

  •  ডেন্টাল সমস্যা দূর করে

চিবানোর ফলে মুখের ভেতরের জীবাণু ধ্বংস হয় এবং দাঁতের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে শরীর দ্রুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

  • হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে

কালোজিরা চিবিয়ে খেলে মুখ থেকে হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটি পেটে গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

 

কালোজিরা (Black Seed বা Nigella Sativa) থেকে তৈরি বেশ কিছু প্রাকৃতিক পণ্য আছে, যা স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের জন্য উপকারি। এগুলো বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় কালোজিরার পণ্য:

১. কালোজিরার তেল (Black Seed Oil)

কালোজিরা তেল সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্যগুলির মধ্যে একটি। এটি সরাসরি ত্বক, চুল এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।

  • ত্বকের জন্য: কালোজিরা তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর, যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন একজিমা, অ্যাকনে, পিম্পল এবং ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • চুলের জন্য: এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে, খুশকি কমায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্য: এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

২. কালোজিরার পাউডার (Black Seed Powder)

কালোজিরা পাউডার হিসেবে প্যাকেটজাত বা খোলাও পাওয়া যায়। এই পাউডারটি সাধারণত স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্য বা পানীয়তে ব্যবহার করা হয়। এটি:

  • হজম সহায়ক: পাউডারটি খেলে পেটের নানা সমস্যা যেমন অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি দূর হতে পারে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

৩. কালোজিরার ক্যাপসুল (Black Seed Capsules)

কালোজিরা ক্যাপসুল সাধারণত স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ বা নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ক্যাপসুলগুলোতে কালোজিরার তেল বা পাউডার থাকে এবং এটি:

  • সুপপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমের সমস্যা সমাধান করতে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবহৃত হয়।

৪. কালোজিরা সোপ (Black Seed Soap)

কালোজিরা সোপ সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। এই সোপটি:

  • ত্বক পরিষ্কার ও কোমল রাখে।
  • অ্যাকনে, পিম্পল, এবং ত্বকের অস্বস্তি কমাতে সহায়ক।
  • প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ত্বককে সুরক্ষা দেয় এবং রেশমী মসৃণতা দেয়।

৫. কালোজিরা মিশ্রণ (Black Seed Blend)

কালোজিরা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যেমন মধু, তেতুল, আদা, বা গলাগালা একত্রিত করে তৈরি করা মিশ্রণ। এটি:

  • অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল: ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যাগুলোর জন্য উপকারী হতে পারে।
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

৬. কালোজিরা চা (Black Seed Tea)

কালোজিরা চা প্যাকেটজাতভাবে বা প্রাকৃতিক উপায়ে প্রস্তুত করা যায়। এটি:

  • ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক পরিষ্কার করে।
  • শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • শরীরের শক্তি বৃদ্ধি এবং ক্লান্তি কমায়।

৭. কালোজিরা শ্যাম্পু (Black Seed Shampoo)

কালোজিরার তেল বা এক্সট্র্যাক্ট দিয়ে তৈরি শ্যাম্পু চুলের জন্য ভালো। এটি:

  • চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • খুশকি, চুল পড়া এবং তেলতেল ভাব কমাতে সাহায্য করে।
  • চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।

৮. কালোজিরা ক্রিম (Black Seed Cream)

কালোজিরা ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য উপকারী। এটি:

  • ত্বকের অ্যালার্জি এবং ইনফ্ল্যামেশন কমায়।
  • শুষ্ক ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখে।
  • ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ময়েশ্চারাইজিং এফেক্ট প্রদান করে।

৯. কালোজিরা অয়েল মাস্ক (Black Seed Oil Mask)

কালোজিরার তেল দিয়ে মুখ এবং চুলের জন্য মাস্ক তৈরি করা যায়। এটি:

  • ত্বক এবং চুলের সুরক্ষা ও পুষ্টি বাড়ায়।
  • রিঙ্কেলস কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের কোষ পুনর্নবীকরণে সহায়ক।

১০. কালোজিরা এবং মধু (Black Seed and Honey)

কালোজিরা ও মধুর মিশ্রণ সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি:

  • শরীরের শক্তি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • শরীরের সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সহায়ক।

 

কালোজিরা ব্যবহারের সতর্কতা

  • গর্ভবতী নারীদের কালোজিরা অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
  • উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে।

 

কালোজিরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। এটি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে এর উপকারিতা আরো বেশি উপভোগ করা সম্ভব। চিবিয়ে খাওয়া কালোজিরার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা শরীরের পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। সুতরাং প্রতিদিন অল্প পরিমাণে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন।

 

আমাদের আজকের ব্লগটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে এটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করুন। আপনার বন্ধুদেরও জানার সুযোগ করে দিন। এছাড়াও আপনারা পরবর্তীতে কোন বিষয়ে ব্লগ পড়তে চান, তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপনাদের মতামত আমাদের পরবর্তী কনটেন্ট তৈরি করতে ও লিখতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

Related Posts

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার খেলে নয়, এটি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য স্বাস্থ্যকর ও মজাদার রেসিপি। চলুন জেনে নিই আলু বোখারার উপকারিতা, খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এটি দিয়ে কী কী তৈরি করা যায়। আলু বোখারার পুষ্টিগুণ আলু বোখারা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে: ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। ভিটামিন কে: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা রোধ করবে। পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করবে। ফাইবার: হজমশক্তি বাড়াবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দেহের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে এবং বার্ধক্যে প্রতিরোধ করবে। আলু বোখারার উপকারিতা ১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আলু বোখারা প্রাকৃতিক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে। ২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আলু বোখারা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এটি ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করবে। ৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা আলু বোখারায় থাকা ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্তিশালী করবে। এটি অস্টিওপোরোসিসের প্রতিরোধ করবে। ৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে পটাসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। ৫. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা আলু বোখারা কোলেস্টেরল কমাবে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে। ৬. ত্বকের যত্নে উপকারী এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাবে। ৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ ফাইবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটি ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। আলু বোখারা খাওয়ার নিয়ম আলু বোখারা খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনে চললে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা উপভোগ করা যাবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো: ১. সকালে খালি পেটে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ৩-৪টি ভিজিয়ে খেয়ে নিন। এটি হজমশক্তি বাড়াবে এবং শরীর ডিটক্সিফাই করবে। ২. স্ন্যাকস হিসেবে খান দিনের মধ্যে হালকা ক্ষুধা লাগলে শুকনো আলু বোখারা খান। এটি দীর্ঘক্ষণ এনার্জি ধরে রাখবে। ৩. মিষ্টি পানীয় তৈরি করে খান আলু বোখারার শরবত বা স্মুদি বানিয়ে পান করুন এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং পুষ্টি জোগাবে। ৪. রান্নায় ব্যবহার করুন পোলাও বা বিরিয়ানিতে আলু বোখারা একটি সুস্বাদু উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। ৫. খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত না খেয়ে প্রতিদিন ৫-৬টি আলু বোখারা খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে। আলু বোখারা দিয়ে তৈরি রেসিপি আলু বোখারা শুধু কাঁচা বা শুকনো খাওয়াই নয়, বরং এটি দিয়ে নানা রকম সুস্বাদু পদ তৈরি করা যাবে। এখানে কিছু জনপ্রিয় রেসিপি দেওয়া হলো: ১. আলু বোখারার শরবত একটি জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। এটি তৈরি করতে যা যা লাগবে: ৪-৫টি শুকনো আলু বোখারা ১ চা চামচ চিনি বা মধু ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি সামান্য লেবুর রস পদ্ধতি: শুকনো আলু বোখারা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে এরপর ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। চিনি বা মধু ও লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন। ২. আলু বোখারার চাটনি মিষ্টি ও টক স্বাদের জন্য এটি দারুণ উপকার করবে। উপকরণ: ১০টি শুকনো আলু বোখারা চিনি লবণ ভিনেগার সামান্য গোলমরিচ পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে সেদ্ধ করে ঘন হয়ে এলে ঠান্ডা করুন। চাটনি রুটি, পরোটা বা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ৩. আলু বোখারার কেক বা ডেজার্ট শুকনো আলু বোখারা ছোট টুকরো করে কেকের ব্যাটারে মিশিয়ে বেক করুন। এটি দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর ডেজার্ট হবে। ৪. পোলাও বা বিরিয়ানিতে ব্যবহার আলু বোখারা পোলাও বা বিরিয়ানিতে মিষ্টি স্বাদ বৃদ্ধি করবে। এটি শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং খাবারকে পুষ্টিকরও করে তোলবে। আলু বোখারা কেন আপনার খাদ্যতালিকায় থাকবে? আলু বোখারা একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করবে এবং শরীরকে সুস্থ্য রাখবে। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং অসাধারণ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন এবং একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাদ্য সন্ধান করেন, তবে আলু বোখারা আপনার জন্য সেরা পছন্দ হবে। উপসংহার আলু বোখারা একটি ছোট ফল হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার অনেক বেশি। এটি আপনার দেহকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে এবং সুস্থ্য রাখবে। এর সহজ রেসিপিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় নতুন স্বাদ যোগ করবে। তাই, আজই আপনার দৈনন্দিন খাবারে আলু বোখারার ব্যবহার করুন এবং এর অসাধারণ গুণাগুণ উপভোগ করুন।

আলু বোখারার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম: স্বাস্থ্য ও স্বাদের এক চমৎকার উৎস

আলু বোখারা, এই ছোট্ট মিষ্টি-টক ফলটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু করে তোলবে। পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু একবার

Read More »
Shopping cart
Sign in

No account yet?

Start typing to see products you are looking for.

Table of Contents

Index
Shop
0 Wishlist
0 items Cart
My account